পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩, ইউরোপের অন্যতম সুখী দেশের মধ্যে পর্তুগাল অন্যতম, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ হচ্ছে পর্তুগাল। যার আয়াতন বাংলাদেশের থেকে বেশ ছোট। আয়াতন ৯৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার। পর্তুগালের জনসংখ্যাও অনেক কম মাত্র ১০ লক্ষর মত। পর্তুগালের ইউরোর মান বাংলাদেশে অনেক বেশি ডলারে কারেন্সিতে এখন ১১৩ টাকার বেশি পাওয়া যায়। আপনারা যারা ২০২৩ সালে পর্তুগাল যাবার জন্য ভিসা আবেদন করবেন আপনাদের কাছে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরবো, সাথে আপনারা যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে চান সেই নিয়ম ও জানাবো। কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করবেন আর কিভাবে আবেদন ফর্ম অনলাইনে পুরন করবেন।
পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩
পর্তুগালে কয়েক ক্যাটাগরিতে ভিসার আবেদন করতে পারবেন, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, পর্তুগাল ভিজিট ভিসা ইত্যাদি,সেক্ষেত্রে আপনি যদি কাজের জন্য ভিসা করতে চান তাহলে বাংলাদেশে থাকা এজেন্সি-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এটা প্রথমিক পর্যায়ে যোগাযোগ করে অনেক তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
তবে কাজের ভিসা নিতে গেলে বাংলাদেশে লোকাল এজেন্সি গুলো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা চেয়ে থাকে তবে পর্তুগালে যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে আর তারা যদি আপনাকে কোন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেই তাহলে তো আপনার খরচ কমে আসবে।
পর্তুগালের ভিসার আবেদন করতে গেলে প্রথমে পর্তুগালে থাকা বাংলাদেশের এম্বাসির ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সকল দিক নির্দেশনা ভালো করে জেনে নিতে হবে।
portugal এই ওয়েব সাইটে সকল তথ্য জেনে নিয়ে তারপর আবেদন করবেন।
পর্তুগাল কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম
প্রথম যে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে নিজের সচেতনতা ও জানাশোনা, পর্তুগাল কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য আপনি দালালের মাধ্যমে করতে গেলে সমস্যা হতে পারে, আপনি নিরাপদ থাকবেন না সুতরাং অনলাইন থেকে ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য যেনে নিতে পারেন।
পর্তুগাল কাজের ভিসার ডকুমেন্ট ও আবেদনের নিয়ম
- পর্তুগাল ভিসার আবেদনকারীর পাসপোর্টে মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
- বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষ বিডা-এর অনুমদন পত্রের অনুলিপি
- কোভিড-১৯ এর টিকা সনদ থাকতে হবে
- অনলাইনে জমা দেওয়া ভিসা আবেদনের প্রিন্ট করা কপি
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ দুই কপি ছবি লাগবে যেটার সাইজ ৪৫ x ৩৫ মিমি হতে হবে
- ভিসা আবেদনের জন্য আবেদনকারীর স্বশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত হতে হবে
- ভিসা প্রসেসিং ফি ৩০ উইরো
- একের বেশিবার আবেদনের জন্য ৯০ ইউরো
- বাংলাদেশে নিয়গকারি কোম্পানির চুক্তির অনুলিপি
- পর্তুগালে আবেদনকারি কোম্পানি থেকে সুপারিসের চিঠি
পর্তুগালে যে সকল কাজের জন্য কর্মী দরকার
পর্তুগালের উত্তর তবং পূর্ব পুরটাই জুড়ে স্পেনের সীমান্ত। আবার অন্যদিকে দক্ষিণ এবং পশ্চিম অ্যাটলান্টিক মহাসাগর। পর্তুগালে আপনি কোন ধরনের কাজের জাইগা পাবেন সেটা সম্পর্কে একটু ধারণা দেই, পর্তুগাল ইউরোপের একটি সুন্দর দেশ সেখানে সারাবছর-ই ট্যুরিস্ট রা বেড়াতে যায় সে জন্য হোটেল স্টাফে নিয়গ চলছে এছাড়াও কৃষি কাজের জন্য, মাছ ও সেখান কার বন বিভাগের-ও কর্মী প্রয়োজন । পর্তুগালে কাজ করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ও পর্তুগীজ ভাষায় দক্ষ হতে হবে, পর্তুগীজ না জানলেও চলবে কিন্ত আপনাকে ইংরেজী অবশ্যই জানতে হবে। তবে আপনি যদি কৃষি কাজের জন্য পর্তুগালে যেতে জান তাহলে ভাষা কম জানা হলেও চলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সে দেশের কৃষি যন্ত্র পাতি সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হবে। বাংলাদেশের মত প্রাচীন পদ্ধতিতে তারা চাষাবাদ করে না।
পর্তুগাল যেহেতু পর্যাটন নির্ভর দেশ সেহেতু আপনি হোটেল অথব রেস্টুরেন্টে কাজের বেশ বড় একটা সুযোগ থাকছে। তবে সেখানেও থাকছে কিছু বাধা। তার জন্যও আপনাকে পর্তুগিজ ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
পর্তুগালে আসার আগে যা যা জানতে হবে
পর্তুগালের প্রধান অর্থনীতিক দিক হচ্ছে কৃষি, পর্যাটন নির্ভর, সামুদ্রিক অর্থনীতি, মৎস্য নিরভর, কিছু ইন্ডাস্টি আছে। তবে আপনি এসে এখানে কি কি করতে পারেন। তার আগে আপনাকে ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে কারন পর্তুগালের ৯৫% মানুষ পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলে। যেক্ষেত্রে আপনাকে পর্তুগালে আসার আজে অবশ্যই পর্তুগিজ ভাষা অন্তত ২০/৩০% শিখে আসতে হবে।
পর্তুগিজ ভাষা কিছুটা কঠিন তবে আপনাকে অবশ্যই ভাল ইংরেজি জানতে হবে। তবে জে রাখা ভল যে ইংরেজির থেকে পর্তুগিজ ভাষা জানা থাকলে কাজ পেতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন আপনি।
পর্তুগাল দূতাবাস
যেহেতু বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস নেই সেহেতু আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে পারবেন না, সে ইন্ডিয়ার পর্তুগাল দূতাবাসের সাহায্য নিতে হবে, সেখান থেকে কাজের ভিসার অনুমতি নিতে হবে।
পর্তুগালের টাকার মান
পর্তুগাল যেহেতু ইউরোপীয় দেশ তাই সেখানেকার চলমান মুদ্রার নাম ইউরো। বর্তমান বাংলাদেশে পর্তুগালে টাকার মান ১১৩.৭১ টাকা। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের উপর দাম কিছুটা উঠা নামা করে।
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে
শ্রমিক হিসেবে পর্তুগাল যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স লাগে। তবে পিতা মাতার সাতে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে বয়সের ব্যাধ বাধকতা নেই।
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়
আপনি যদি সর্বনিম্ন এসএসসি পাস করে থাকেন তাহলে IELTS করে মুটামুটি রেজাল্ট করার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভারতের পর্তুগাল দূতাবাসের সাহায্য নিতে হবে। আপনাকে তাদের বোঝাতে হবে যে আপনি আসলেই সেখানে পড়াশোনার উদ্দেশে যাচ্ছেন।
Dear