Health
Trending

কিভাবে লম্বা হওয়া যায়~ লম্বা হওয়ার উপায়

4.7/5 - (4 votes)

আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে লম্বা হওয়া যায় সে সম্পর্কে । আপনি যদি, কিভাবে লম্বা হওয়া যায় জানতে চান, তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি আপনি পড়তে পারেন। লম্বা হতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে, যেমন; স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য, প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া, প্রতিদিন স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়া, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করা, প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমিত ঘুমানো ইত্যাদি বিষয়গুলো আজকের কিভাবে লম্বা হওয়া যায় পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এই সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

আমাদের সমাজে একটা কথা আছে, সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমরা সবাই সুন্দর শরীর এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হতে চায়। আমরা যারা, উচ্চতা বাড়াতে চাই তাদের মনে এই প্রশ্নটা অবশ্যই আসতে পারে  কিভাবে লম্বা হওয়া যায়। আসলে লম্বা হওয়ার জন্য আপনার লাইফ স্টাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি কি খাবার খাচ্ছেন? কীভাবে জীবন যাপন করছেন? লম্বা হওয়াটা এর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।

কিভাবে লম্বা হওয়া যায়~ লম্বা হওয়ার উপায়

আমরা যদি আমাদের শরীরের যত্ন নিই তাহলে শরীর অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। তবে লম্বা হওয়াটা অনেক সময় আমাদের বংশগত ভাবে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের গ্রোথ প্লেটের কাজ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের শরীরের লম্বা হওয়া থেমে যায়। সাধারণত লম্বা হওয়ার বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। তাই, এই বয়সে কিশোরদের লম্বা হওয়া বিষয়টা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তবে, সঠিক পুষ্টি এবং জীবন ধারার মান ভালো হলে শরীর বেড়ে ওঠে ঠিকমতো। এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে লম্বা হওয়া যায়।

স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার – ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায়

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় পোষ্টের প্রথমে খাবার তালিকায় রয়েছে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার। আমাদের দেহের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অবশ্যই শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে। আমাদের খাবার প্লেটের অর্ধেকের রাখতে হবে শাকসবজি, চার ভাগের এক ভাগ পূর্ণ করতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার দিয়ে এবং বাকি চার ভাগের এক ভাগ রাখতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার দিয়ে। 

এছাড়াও আমাদের খাবার তালিকায় হালকা খাবার হিসেবে ফলমূল, শাকসবজি এবং থাকতে হবে। আমাদের খাদ্য তালিকার প্রোটিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য গুলো হলো- মুরগির মাংস, মাছ টার্কি, বাদাম, সিম এবং লো ফ্যাট জাতীয় খাবার। আর শর্করার মধ্য অবশ্যই শস্যজাতীয় খাদ্য এবং আলু।

প্রোটিনযুক্ত খাবার – কিভাবে লম্বা হওয়া যায়

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় পোষ্টের দ্বিতীয় খাবার তালিকায় রয়েছে প্রোটিনযুক্ত খাবার। আমাদের শরীরের বৃদ্ধি এবং মাংসপেশি গঠিত করার জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খাবার তালিকায় প্রত্যেক বেলায় প্রোটিন জাতীয় খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। আমাদের শরীরের উপকারের জন্য হালকা খাবার তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে পারি। যেমন- সকালের খাবারের সাথে দই রাখা যেতে পারে, দুপুরের খাবারের সাথে টুনা মাছ রাখা যেতে পারে এবং রাতের খাবারের সাথে মুরগির মাংস ইত্যাদি রাখতে পারি।

প্রতিদিন ডিম খাওয়া

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় পোষ্টের তৃতীয় খাবার তালিকায় রয়েছে প্রতিদিন ডিম খাওয়া। আমাদের সমাজে যে-সব বাচ্চারা প্রতিদিন একটি করে ডিম খায়, এবং যে-সব বাচ্চারা ডিম খায় না তাদের থেকে একটু বেশি লম্বা হয়ে থাকে। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং ভিটামিন যা আমাদের শরীর বৃদ্ধির জন্য খুবই দরকার। তাছাড়া ডিম কম দামে পাওয়া যায় বলে সবাই কিনে খেতে পারে। তবে যে-সব বাচ্চাদের প্রতিদিন ডিম খেলে সমস্যা হয় তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রতিদিন স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়া – কিভাবে লম্বা হওয়া যায়

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় পোষ্টের চতুর্থ খাবার তালিকায় রয়েছে স্নেহ জাতীয় খাবার খাওয়া। দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রা; প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন যা আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায়। তাই প্রতিদিন আমাদের এক গ্লাস দুধ বা দই খাওয়া উচিত। আমাদের শরীরের জন্য পানি উপকারী উপকারী তাই আমরা বেশি বেশি করে পানি পান করবো। প্রতিদিন আমরা পছন্দ মতো যেকোনো দুধ এক গ্লাস পান করব।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গ্রহণ

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর পঞ্চম পর্যায়ে রয়েছে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গ্রহণ। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় তার খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন জাতীয় ট্যাবলেট রাখা যেতে পারে।এই সকল ট্যাবলেট দেহের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এক্ষেত্রে আমাদের দেহের বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি সবচেয়ে বেশি দরকারি। তার কারণ এগুলো হাড় গঠনে সাহায্যে করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে।

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর জন্য জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা

 

আমাদের দেহের সঠিক বৃদ্ধির জন্য সঠিক ভাবে চলাচল করতে হবে। হাঁটার সময় অবশ্যই মেরুদন্ড সোজা করে হাঁটতে হবে। কিভাবে লম্বা হওয়া যায়এর জন্য সঠিক ভঙ্গিতে চলাচল করা অন্যতম। কাঁধ সমান করে এবং সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটাচলা করতে হবে। যেকোনো জায়গায় বসার সময় মেরুদন্ড সোজা করে বসতে হবে এবং মুখ সমনের দিকে সোজা করে রাখতে হবে। ইচ্ছা করলে হাঁটা এবং বসার ভঙ্গি ঠিক আছে কিনা সেটা আয়নার সামনে গিয়ে নিজে নিজেই পরীক্ষা করতে পারেন।

প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করা

আমাদের শরীরের হাড় এবং মাংসপেশী সুগঠিত করার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা জরুরি। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর জন্য প্রতিদিন নিয়ম মেনে শরীর চর্চা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং দেহের সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার পছন্দমতো যেকোনো একটি ব্যায়াম বাছাই করে নিতে হবে যেটা শরীরের জন্য উপকারী এবং যেটি করে মন ও আনন্দ পায়। যেমন- যেকোনো ধরনের খেলাধুলা, ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করা বা দৌড়ানো অথবা নাচের ক্লাসে অংশগ্রহণ।

প্রতিদিন সময়মতো ও নিয়ম করে পরিমিত ঘুমানো

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো নিয়ম করে পরিমিত ঘুম। আমাদের প্রতিদিনের সব কাজের পাশাপাশি নিয়ম করে ঘুমাতে হবে। আমাদের সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে শরীরের হাড়, মাংসপেশী ক্লান্ত হয়ে যায়, শরীর ভেঙে পড়ে তখন শরীরের জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।

আমাদের ঠিক মত যেন ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘুম ঠিকমতো হলে শরীরের হাড়, মাংসপেশীর বিশ্রাম ও ঠিক মতো হবে এবং পুনরায় শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের বয়স অনুযায়ী ঘুমের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর জন্য বয়স অনুযায়ী নিচে ঘুমের তালিকা দেয়া হলো

নবজাতক শিশুর জন্য প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।

বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজন নিম্নোক্ত; 

  • ২ থেকে ৪ বছর বয়সে বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন ১৩ থেকে ২২ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • ৬ থেকে ৭ বছর বয়সে বাচ্চাদের জন্য নয় থেকে দশ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সে কিশোর বা কিশোরীদের জন্য ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের জন্য ৭.৫ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
  • প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ এর ওপর বয়স মানুষের জন্য ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। 

অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ – কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়

আমাদের শরীর অসুস্থ হলে শরীর দ্রুত তা সুস্থ করার চেষ্টা করে। এই অসুস্থতা আমাদের শরীরের বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত সৃষ্টি করে। তাই অসুস্থ হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ওঠা উচিত। আমাদের শরীর বেশি অসুস্থ হলে বৃদ্ধি পর্যাপ্ত হয় না তাই, সেই সময় আমাদের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। 

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এর জন্য বিভিন্ন শরীর চর্চা

বিভিন্ন শরীর চর্চার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বৃদ্ধি বজায় রাখা যায়। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় তার জন্য কিছু শরীরচর্চা নিচে দেওয়া হল।

  • লম্বা ভাবে টানটান হয়ে শুয়ে হাত লম্বা করে মাথার উপর দিকে দেওয়া। এতে আমাদের মেরুদন্ড প্রসারিত হয়।
  • নিচে শুয়ে মাথার উপর হাত টানটান করে রেখে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর উঁচু করতে হবে।
  • পেটের উপর ভর দিয়ে হাত এবং হাত এবং পা টানটান করে দিতে হবে। 

আরো পড়ুন: আপনি কেন আদা খাবেন জানুন 

শেষ কথা

আমাদের আজকের আলোচনা ছিল কিভাবে লম্বা হওয়া যায়। আজকের পোস্টে লম্বা হওয়ার জন্য যে খাবারের কথাগুলো বলা হয়েছে সেগুলো সঠিক নিয়মে খেলে, আশা করি আপনার লম্বা হওয়ার সমস্যা সমাধান হবে। আশা করি দ্রুত লম্বা হতে পারবেন। এ ধরণের আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button